সন্তোষপুর এ স্থানে ১৪৭৪ খ্রিস্টাব্দে শাহ ইসমাইল গাজীর সাথে কামরুপের রাজা কামেশ্বরের যুদ্ধ হয়েছিল । এই জন্য এ স্থানটি জনগনের কাছে সমাদৃত ।
সন্তোষপুর ইউনিয়নের ইতিহাসঃ- ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪৩ সালে প্রথম ১৫টি গ্রাম ও ৩টি ওর্য়াড নিয়ে সন্তোষপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐসময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কে পন্চায়েতবলা হত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম পন্চায়েতএর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবীঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান কিছু প্রতিনিধি জুরি বোর্ড পন্চায়েতএরপদবী কে চেয়ারম্যান করা হয়। মৃত আজিম ব্যাপারী প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মনোনীত হনএবং তিনিই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে মৃত আলী হোসেন নির্বাচিতহন, এবং বর্তমানে মোঃ লিয়াকত আলী ( লাকু) ইউনিয়নপরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে ১৮টি ছোট বড় গ্রামও ৯টি ওর্য়াড মিলিয়েই সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদ।
যুদ্ধক্ষেত্রঃ
তালতলা সন্তোষপুর ইউনিয়নের নিলুর খামার মৌজার তালতলায় পাক বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সশস্ত্র যুদ্ধ সংঘটিত হয় । তালতলা যুদ্ধক্ষেত্রটি সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের নিকট অবস্থিত । এ ছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণ হত্যার স্বাক্ষি সরুপ নিলুরখামার মৌজায় একটি গন কবর আছে ।
সামাজিক প্রথা ও সাংস্কৃতিঃ
এ ইউনিয়নের লোক জন স্বভাবগত ভাবে শান্ত ও ন্ম্র । পোষাক মেয়রা শাড়ী ব্লাউজ ও সেলয়ার কামিজ পরে আর পুরুষেরা লুঙ্গি, পায়জামা পাঞ্জাবি ,সার্ট ও কোট প্যান্ট টাই পরে। এ ছাড়া অতিথি আপ্যায়ন, খাদ্যাভ্যাস, নবান্ন, পুষনা, দক্ষিনা, লোক শিল্প ভাড় খাওয়া, স্বাদ খাওয়া, আকিকা, বহু বিবাহ, নব্বর্ষের আচার ইত্যাদি এসব আচার অনুষ্ঠানই এ ইউনিয়নের অতি পরিচিত প্রথা ।
সাংস্কৃতিক প্রথাঃ
এ ইউনিয়নের মানুষ স্থানিয় বা বহিরা গত লোকদের কে তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নাম রাখতে সিদ্ধহস্ত । যেমন জলিল নামের লোকদের বিশেষভাবে চিহ্নিতকরনের ক্ষেত্রে চৈতা জলিল, চিকা জলিল, টসা জলিল, কালা জলিল, পাতি জলিল ইত্যাদি ।যদিও এখন অনেকটা কমে গেছে । আবার ভাষার প্রধান বৈশিষ্ট হল- এখন কার ভাষার সংগে রংপুরের ভাষার যথেষ্ট মিল থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে অমিল পাওয়া যায় । যেমন যাই এর স্থানে যাং, খাই এর স্থানে খাং । “অ” এর স্থলে “র” যেমন- অযু এর স্থলে “রুজু”
“অ” এর স্থলে “র” যেমন- রফিকুল এর স্থলে অপিকুল, রংপুর এর স্থলে অংপুর ইত্যাদি ।
শহীদ আবুল হোসেন, পৃতা মৃত- জেন্নাত আলী মুন্সি, গ্রামঃ কুটিনাওডাঙ্গা, সন্তোষপুর, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম শহীদ আলী হোসেন পৃতা মৃত- জেন্নাত আলী মুন্সি, গ্রামঃ কুটিনাওডাঙ্গা, সন্তোষপুর, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম ।
ছমির আমিনুল জন্ম গ্রামঃ নিলুরখামার, সন্তোষপুর, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম । পিতা আব্দুস ছাত্তার ব্যাপারী। তিনি গবেষক ও লোককবি। তিনি লোকজ ও ভাওয়াইয়া গান ছাড়া নেপালের রাজ পরিবারের সংঘটিত হত্যা কান্ডের উপর ভিত্তি করে পালা গান “ দেবযানী দিপেন্দ্র” রচনা করেছেন ।
ড. হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন । তার পিতার নাম মোঃ নছির উদ্দিন ব্যাপারী গ্রামঃ ধনীগাগলা, ইউনিয়নঃ সন্তোষপুর, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস